IUPAC নামকরণের সাধারণ নীতি

  1. অ্যালিফেটিক জৈব যৌগের নামকরণে প্রধানত তিনটি পদ বা অংশ থাকে।[উপপদ(Prefix) + শব্দ মূল (Word root) + পরপদ (Suffix)]
  2. প্রথমে বৃহত্তম কার্বন শিকল (মূল শিকল) নির্বাচন করতে হবে, তারপর শাখা নির্বাচন করতে হবে।
  3. যে পাশ থেকে নাম্বারিং করলে কাছে এবং অধিক সংখ্যক মূলক/পার্শ্ব শিকল পাওয়া যাবে সেই পাশ থেকেই নাম্বারিং করতে হবে।
  4. উভয় দিক থেকে একইরকম মূলক একই অবস্থানে থাকলে, সেক্ষেত্রে যেদিক থেকে শাখাগুলোর অবস্থানের যোগফল ছোট হবে সেদিক থেকে নাম্বারিং করতে হবে।
  5. পার্শ্বশিকল এ পুনরায় পার্শ্বশিকল বা প্রতিস্থাপক থাকলে প্রধান শিকলের সাথে যুক্ত কার্বন পরমাণুকে ১ নং ধরে এর বড় শিকলের কার্বন পরমাণুগুলিকে নাম্বারিং করা হয় এক্ষেত্রে প্রতিস্থাপকটির নাম সর্বদা একটি ব্র্যাকেটের মধ্যে লেখা হয়।
  6. যদি মূল শিকলে ভিন্ন ভিন্ন মূলক/শাখা থাকে সেক্ষেত্রে ইংরেজি বর্ণমালা অনুসারে উচ্চারণে যেটি আগে আসবে সেটি আগে লেখে ক্রমানুসারে (অ্যামিনো, ইথাইল, মিথাইল) সাজিয়ে লেখতে হবে।
  7. এক জাতীয় মূলক একাধিক থাকলে ডাই (2টি থাকলে), ট্রাই (3টি থাকলে) টেট্রা (4টি থাকলে) ইত্যাদি উল্লেখ করতে হয়।
  8. জৈব যৌগে কার্যকরীমূলক বা পার্শ্বশিকলের অবস্থানকে সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করতে হবে।
  9. প্রতি অবস্থানের জন্য আলাদা সংখ্যা ব্যবহার করা হয়।
  10. সংখ্যাগুলোর মাঝে কমা (,) এবং সংখ্যা ও শব্দের মাঝে হাইপেন (-) ব্যবহার করতে হয়।

Next Post Previous Post