@ নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের দশটি শিখন যোগ্যতা -


৯.১ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব কীভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় তার ধারণা আয়ত্ত করে সভ্যতার ক্রমবিকাশে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বসমূহের অবদান অনুধাবন করতে পারা;

ব্যাখ্যা: শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক তত্ত্বসমূহ অনুসন্ধান করবে এবং এই তত্ত্বসমূহ কীভাবে পরীক্ষা নীরিক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করবে। একইভাবে অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব/ধারণা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সভ্যতার ক্রমবিকাশে বিজ্ঞানের অবদান উদঘাটন করবে।

 ৯.২ জটিল/ বহুমাত্রিক বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব/ সমস্যাকে গাণিতিক সম্পর্ক আকারে প্রকাশ করতে পারা এবং সমস্যা সমাধান করতে পারা;

ব্যাখ্যা: শিক্ষার্থীরা অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিভিন্ন বহুমাত্রিক বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব/সমস্যাকে গানিতিক সমীকরণের মাধ্যমে প্রকাশ করবে, এবং গাণিতিক দক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে এসকল তত্ত্ব/সমস্যা সমাধানে এই সমীকরণ ব্যবহার করবে।

 ৯.৩ মহাবিশ্ব ও পৃথিবীর সজীব ও অজীব বস্তুর গঠনের প্যাটার্ন অন্বেষণ করতে পারা;

ব্যাখ্যা: শিক্ষার্থীরা মহাবিশ্ব ও পৃথীবির বিভিন্ন সজীব ও অজীব বস্তুর গঠন পর্যবেক্ষণ করবে। বিভিন্ন বস্তুর গঠনবৈশিষ্ট্য তুলনার মাধ্যমে এদের গঠনের প্যাটার্ন খুঁজে বের করবে। বিচিত্র বৈশিষ্ট্যের সজীব ও অজীব বস্তু পর্যবেক্ষণ করলে একটা সুনির্দিষ্ট প্যাটার্ন দেখা যায় এবং কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম বা order অনুযায়ী এদের গঠনের কার্যকরী এককগুলো বিন্যস্ত হয়, তা শিক্ষার্থীরা উপলব্ধি করতে পারবে।

 ৯.৪ ক্ষুদ্রতর স্কেলে সজীব ও অজীব বস্তুসমূহের গঠন-কাঠামো উদঘাটন করা এবং তা কীভাবে সেসব বস্তুর দৃশ্যমান আচরণ/বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে তা অনুসন্ধান করতে পারা;

ব্যাখ্যা: শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্রতর স্কেলে বিভিন্ন বস্তুর গঠন কাঠামো, আচরণ, কাজ, ও অন্যান্য দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে এসব বস্তু কোন গঠনগত বৈশিষ্ট্যের জন্য কোন নির্দিষ্ট আচরণ প্রদর্শন করে তা খুঁজে বের করবে। এর ভিত্তিতে কোনো বস্তুর দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে ক্ষুদ্রতর স্কেলে এর গঠনের প্যাটার্ন অনুমান করতে পারবে।

 ৯.৫ নির্দিষ্ট সিস্টেমের ভেতরে শক্তির স্থানান্তর ও রূপান্তর পর্যবেক্ষণ করে শক্তির নিত্যতা অন্বেষণ করা;

ব্যাখ্যা: শিক্ষার্থীরা কোনো সিস্টেম বা ব্যবস্থায় বিভিন্ন বস্তুর শক্তির আদান প্রদান পর্যবেক্ষণ করবে এবং এর মাধ্যমে শক্তির কোন রূপ অন্য কোন রূপে রূপান্তরিত হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করবে, প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে শক্তির যে ক্ষয় বা বিনাশ নেই, শুধুমাত্র রূপান্তর আছে তা উদ্ঘাটন করবে।

  

৯.৬ অতি ক্ষুদ্র বা অতি বৃহৎ, অতি দ্রুত বা অতি মন্থর স্কেলে সিস্টেমের আপাত স্থিতাবস্থার যে পরিবর্তন ঘটে তা উপলব্ধি করতে পারা;

 ব্যাখ্যা: শিক্ষার্থীরা স্থির বা গতিশীল সাম্যাবস্থা (static and dynamic equilibrium) বজায় আছে এমন কোন প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম সিস্টেম, পর্যবেক্ষণ করে অতি ক্ষুদ্র বা অতি বৃহৎ, অতি দ্রুত বা অতি মন্থর স্কেলে এর আপাত স্থিতাবস্থার যে পরিবর্তন ঘটে তা অনুসন্ধান করবে।

 

৯.৭ মহাবিশ্বের বস্তুসমূহের মধ্যকার অন্তর্নিহিত প্যাটার্ন ও সুশৃঙ্খলতা হৃদয়ঙ্গম করতে পারা;

 ব্যাখ্যা: শিক্ষার্থীরা মহাবিশ্বের বস্তুসমূহের কীভাবে গঠিত এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বসমূহ। পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমে মহাজাগতিক বস্তুসমূহের মধ্যকার শৃঙ্খলা ও গঠন-কাঠামো (প্যাটার্ন) অনুধাবন করবে।

 

৯.৮ বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্যের প্যাটার্ন উদঘাটন করতে পারা;

 ব্যাখ্যা: শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিখন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন ধরনের পরিবেশের জীববৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণ করবে এবং একই ধরনের জীবের মধ্যে যেসব জৈবিক কারণে সময়ের সঙ্গে যে ক্রমবিবর্তন হয় তা অনুসন্ধান করার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্যের প্যাটার্ন উদঘাটন করবে।

 ৯.৯ নিজেকে বিশ্বপ্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উপলব্ধি করে দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারা;

 ব্যাখ্যা: শিক্ষার্থীরা চারপাশের পরিবেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ খুঁজে বের করে এর ফলে সৃষ্ট ঝুঁকিসমূহ কমিয়ে আনতে নিজস্ব সমাধান প্রস্তাব করবে এবং সমাধানের উপযোগিতা যাচাই করে পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করবে।

 ৯.১০ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে জাতীয় ও বৈশ্বিক কল্যাণে ইতিবাচক অবদান রাখা;

 ব্যাখ্যা: শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার মূল্যায়ন করবে এবং জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এসব প্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব বিশ্লেষণ করে এগুলোর দায়িত্বশীল ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সচেষ্ট হবে।



Next Post